যে খাবার ‘ফ্লু’র বিরুদ্ধে লড়াইতে বা লড়াই করতে সাহায্য করে। ফ্লু বা গরমে সর্দি-কাশি-জ্বর থেকে বাঁচার জন্য রয়েছে ওষুধ। তবে কিছু খাবারও ‘ফ্লু’ থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলেন, সর্দি-কাশির ওষুধ খেয়ে ঝিমানোর চাইতে এই খাবার খেয়ে সুস্থ থাকার চেষ্টা করা ভালো।
কুমড়ার দানা
প্রচুর পরিমাণে জিংক রয়েছে এই খাবারে—যা রক্তের শ্বেত কাণিকাকে অসুখের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
টুনা
সেলেনিয়ামের অত্যন্ত ভালো উৎস হলো টুনামাছ—যা অসুস্থতার ফলে শারীরিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মাশরুম
বেটা গ্লুক্যানস মাশরুম থেকে পাওয়া যায়—যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মিষ্টি আলু
বছরের এই সময়ে মিষ্টি আলু খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। একদিক দিয়ে অবশ্য ভালোই হয়েছে। কারণ এই আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত ভিটামিন এ শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়।
গ্রিন টি
প্রতিদিন এই চা খাওয়ার অভ্যেস করুন। তাহলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টির চাহিদা মিটবে। এতে শরীর ভালো থাকবে।
দই
প্রোবায়োটিক বা উপকারী জীবাণুর অন্যতম উৎস হলো দই—যা শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও হজম শক্তি বাড়ায়।
এবার জানা যাক
ফ্লু হলে কী করণীয়?
‘ফ্লু’তে আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, থাকতে হবে পরিপূর্ণ বিশ্রামে। বিশ্রামই শরীরকে হারানো শক্তি পুনরুদ্ধার করার সুযোগ দেবে। প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে।
ফাউসি বলেন, রোগী বুঝতে না পারলেও ‘ফ্লু’ হলে শরীর প্রচুর পরিমাণে তরল হারায়। তাই সাধারণের তুলনায় দ্বিগুন, প্রয়োজনে তিনগুন তরল গ্রহণ করতে হবে।
পরিবার ও আশপাশের মানুষকে নিজের ‘ফ্লু’ ভাইরাস রক্ষা করার স্বার্থে নিজেকে আলাদা রাখতে হবে। রোগী যা কিছু স্পর্শ করেন তা থেকে এবং রোগীর হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সহজেই ‘ফ্লু’ ভাইরাস ছড়িয়ে যায়। তাই সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
যারা রোগাক্রান্ত হননি তাদেরও সাবধান হওয়ার প্রয়োজনীয়তা কম নয়। ‘ফ্লু’তে আক্রান্ত রোগী থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এ ছাড়া এই রোগ থেকে সুরক্ষা পেতে প্রতিবছর টিকা নিতে পারেন। তবে টিকা নেওয়ার পরও রোগ হতে পারে, জানান রাবি। কারণ কিছু মানুষের শরীরে টিকা পরিপূর্ণভাবে কার্যকর হয় না।
অনেকে আবার মনে করেন, টিকা নিলেই রোগ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে—যা ভুল ধারণা। রোগের মাত্রা কমবেশি হতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ এই তারতম্য হতে পারে ‘সাইনাস’ কিংবা কানের সংক্রমণের উপসর্গ।
‘ফ্লু’র কারণে অন্যান্য রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর সংক্রমণ আরো সহজ হয়ে যায়। বিশেষত, পাঁচ বছর বয়সের নিচের শিশু, গর্ভবতী নারী এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সে প্রবীণদের জন্য বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এ ছাড়া যাদের হৃৎরোগ, ডায়াবেটিস, ফুসফুসের রোগ, বৃক্কের রোগ আছে তাদেরও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।